Pages

হারের পর ধোনির এ কেমন রসিকতা?

লেন্ডল সিমন্স কে এবং কেন, যারা ভালোভাবে চিনতেন না বৃহস্পতিবার রাতের পর আর সমস্যা নেই। জনসন চার্লস। আন্দ্রে রাসেল। এরাও এক-একজন পাওয়ার হিটিংয়ে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ভেন্যু ওয়াংখেড়েকে এমন স্তব্ধ করে দিলেন যেন মানসিকভাবে পরাজিত ভারতের তারাও ভেঙে যাওয়া ফ্লাইওভারের নিচে নিষ্পেষিত।
কিন্তু স্যামুয়েল ফেরিসকে ক’জন চেনেন? অস্ট্রেলীয় ওয়েবসাইটের এই সাংবাদিক খেলার পর আকস্মিক নাটকে জড়িয়ে গেলেন। কেন? না, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি এর পর আর খেলবেন কি না?
ধোনি আবার একটা সেমিফাইনাল হারতে পারেন, ভারতীয় মিডিয়ার প্রতি তাচ্ছিল্য হারাননি। তিনি বললেন, ‘‘আরে আপনি এই প্রশ্নটা করলেন? আমি তো ভাবলাম নির্ঘাত ভারতীয় মিডিয়া থেকে উঠবে।’’ তার পর বললেন, ‘‘আসুন আসুন, একটু মজা করা যাক।’’
বিশ্বকাপ থেকে এমন অতর্কিত বিদায় নেওয়ার পর মজা করার কথাটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। সাংবাদিক একটু হকচকিয়ে যান। ধোনি বলতে থাকেন, ‘‘আসুন আসুন।’’ তখন ভারত অধিনায়কের পাশে গিয়ে বসায় ধোনি বলেন, ‘‘আপনার কি কোনও ছেলে আছে? বা ভাই আছে? যে কিপার হিসেবে আমার জায়গা নিতে পারবে বলে মনে করেন?’’ স্যামুয়েল বলেন, তেমন কিছু নয়। ধোনি তখন তাকে ফেরত পাঠান এই বলে যে, ‘‘ঠিক আছে তা হলে আমি আশ্বস্ত।’’
হাবেভাবে মনে হল এখুনি অবসর নেওয়ার কথা অধিনায়কের ভাবনায় নেই এবং ২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ তার মানে হয়তো খেলার কথা ভাবছেন। অধিনায়ক হিসেবে চলতি বিশ্বকাপে তার নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা যত দিন যাবে, তত কিন্তু বাড়বে। বিশ্বকাপে এমন অনেক সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন যা স্রেফ ফাটকা। যার পেছনে সব সময় টানটান ক্রিকেটীয় যুক্তি নেই। শেষ ওভারটা যেমন অশ্বিনকে না দিয়ে কোহালিকে দিয়ে করানো। অশ্বিনের কোটা শেষ না করা। যুবরাজকে দিয়ে গোটা টুর্নামেন্টে মাত্র ৩ ওভার বল করানো। বাংলাদেশের দিন হার্দিককে আগে ব্যাট করতে পাঠানো। ওয়াংখেড়েতে কাল শিশিরের মধ্যে বোলিং অনুশীলন না করা। কলকাতায় অশ্বিনের কোটা শেষ না করা। এখানে রায়নাকে দিয়ে বল না করানো।
কাপ যুদ্ধ শেষ।
ভাগ্য ভালো থাকার সময় এই চান্স নেওয়াগুলো প্রত্যেকটা খেটে যেত। যেমন দু’হাজার সাত ফাইনালে যোগিন্দর শর্মাকে দিয়ে শেষ ওভার করানো। এই হঠাৎ হঠাৎ বোলার পরিবর্তন আর টেকনিক বদল— গত চার বছর ধরে আর খাটছে না। তাই ভারত এখন ক্রমাগত নকআউটে হারছে। গত বার হেরেছিল ফাইনালে। এ বার সেমিফাইনালে।
ধোনি ব্যাখ্যা দিলেন, শিশির খুব বেশি ছিল পরের দিকে। তাই তাঁর স্পিনাররা বল গ্রিপ করতে পারেননি। বললেন, ‘‘আমরা যখন ব্যাট করলাম আর ওরা আজ যখন ব্যাট করল— দুটোয় এত পরিস্থিতির তফাত যে, সেটাই মারাত্মক হয়ে গেল।’’ বললেন, দুটি নো বলও খুব দুর্ভাগ্যের। 
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর বৃহস্পতিবার মাঠে ছিলেন। কোহালির ৪৭ বলে ৮৯ এবং ধোনির ভ্রমাত্মক কিছু সিদ্ধান্ত— দুটিই তিনি মাঠে বসে দেখলেন। বৃহস্পতিবারের কোনো প্রকোপ কি তার মাধ্যমে ভারত অধিনায়কের ওপর পড়বে? বিচিত্র নয়। দেখা যাক!

No comments :

Post a Comment

The latest news, breaking news and current news at "exclusivenews21.blogspot.com" Get all the big headlines, pictures, analysis, opinion and video on the stories that matt.