পিঠের চোটের জন্য খেলতে না পারা। কর ফাঁকি মামলায় আদালতে হাজিরা দেয়া। কয়েকটা দিন
কেটে গেছে মানসিক যন্ত্রণায়। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি অনেকটাই চাপমুক্ত। শতবার্ষিকী কোপায়
সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। তিনি নিজেও বিচরণ করছেন ছন্দে। কোয়ার্টার ফাইনালে গোল
করে যতটা না খুশি হয়েছেন, তার থেকেও তৃপ্তি, ভাললাগা ছুঁয়ে গেছে অন্য একটা ব্যাপারে। দেশের
জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ ৫৪টা গোল লেখা হয়ে গেল তার নামের পাশে। আর তার নামও জুড়ে গেল
‘বাতিগোল’–এর পাশে। আসলে সাদা–নীল জার্সিতে দু’জনেরই গোলের সংখ্যা ৫৪।
ক্লাবের হয়ে তো তার সাফল্যের অন্ত নেই। কিন্তু দেশের হয়ে কিছু করতে পারলে খুব, খুব খুশি হন
লিওনেল মেসি। কিন্তু ব্যক্তিগত নজিরের থেকেও তার মন পড়ে রয়েছে কোপার দিকে। দেশকে
খেতাব দেয়ার জন্য তিনি মুখিয়ে রয়েছেন।
তবু একটি সংবাদমাধ্যম তাকে প্রশ্ন করেছিল, বাতিস্তুতার রেকর্ড স্পর্শ করা নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া
কী? মেসি বলেছেন, ‘আমি তো শুধু ওকে স্পর্শ করেছি, ওর রেকর্ড তো ভাঙিনি। কিন্তু গ্যাব্রিয়েল
বাতিস্তুতার সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে আমার নামও উচ্চারিত হচ্ছে, এটাই বিরাট গর্বের
ব্যাপার।’ তারপরেই ‘লা পুলগা’ ফের ঢুকে পড়েছেন কোপার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে। মেসির
কথায়, ‘গোল করেছি, তাতে খুশি। কিন্তু আরো খুশি হয়েছি প্রথম গোলটার জন্য। কারণ হিগুয়েনের
গোলের পাসটা আমারই বাড়ানো।’ এবার সামনে আমেরিকা। ফাইনালে ওঠার লড়াই। মেসি
বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সামনে এগনো। ভালো খেলেই আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি। এই
খেলাটাই চালিয়ে যেতে হবে। শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। প্রাধান্য বিস্তার করেই খেলতে
হবে। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হলে চলবে না। মাথায় রাখতে হবে, ভেনেজুয়েলা ম্যাচের
প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিটে ওরা আমাদের চেপে ধরেছিল, এটা যেন আর না হয়।’
অন্যদিকে কী বলছে আমেরিকা? প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে
তারা। এবার প্রতিযোগিতায় সব থেকে বড় অঘটনের লক্ষ্যে তাল ঠুকছে জুরগেন ক্লিন্সম্যানের দল।
শুধু আর্জেন্টিনাকে হারানোই নয়, কোপায় চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন আমেরিকার কোচ।
সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোপায় চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার কোনও কারণ তো দেখতে পাচ্ছি না।’
তারপর জুড়ে দিয়েছেন, ‘আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবার নেই।’ দু’বছর আগে বিশ্বকাপে
রোনাল্ডোর পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করেছিল আমেরিকা। গ্রুপ পর্যায় থেকে পর্তুগালের ছিটকে যাওয়ার
পেছনে এই ড্র অনেকটাই দায়ী ছিল।
ক্লিন্সম্যান বলেছেন, ‘আমরা অনেককেই এভাবে অবাক করে দিয়েছি। নকআউট ম্যাচে যা খুশি ঘটতে
পারে। যাদের সঙ্গেই খেলা হোক না কেন, সম্ভাবনা ৫০–৫০। বড় স্বপ্ন দেখতে বাধা কোথায়? ব্যবধান
তো মাত্র দুটি ম্যাচের।’
No comments :
Post a Comment
The latest news, breaking news and current news at "exclusivenews21.blogspot.com" Get all the big headlines, pictures, analysis, opinion and video on the stories that matt.